ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

নৌকাডুবিতে ১২ রোহিঙ্গার মৃতদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ ২০

PIC_01-1-868x540-868x540জসিম মাহমুদ :
কক্সবাজারের টেকনাফের সমুদ্র উপকূলে রোহিঙ্গাবাহী নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সোমবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ১২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ২০ জন।

রোববার রাতে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপের ঘোলারচর পয়েন্টে নৌকা ডুবির ঘটনাটি ঘটে।

এর আগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর টেকনাফের পাশের উপজেলা উখিয়ার ইনানী সৈকতের কাছে সাগরে রোহিঙ্গাবাহী নৌকাডুবির ঘটনায় ২০ জন মারা যান।

নৌকাডুবিতে সাঁতরিয়ে কূলে উঠে আসা মোহাম্মদ জাফর আলম জানান, সেনাবাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পেতে পরিবারের সাত সদস্যকে নিয়ে বুচিদংয়ের মাইদং পাহাড় পেড়িয়ে নাইক্ষ্যংদিয়া আসি। পরে একটি নৌকায় করে প্রায় ৪০জনের মতো রোহিঙ্গা নিয়ে টেকনাফে আসার পথে নাফনদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনা বদরমোকাম এলাকার ঘোলারচরে ঢেউয়ের কবলে পড়ে নৌকাটি উল্টে যায়। মা আয়েশা খাতুন, স্ত্রী মাজেদা বেগম ও আমি কুলে উঠে আসতে পারলেও দুই বোন ও দুইজন শিশু ছেলে এখনও নিখোঁজ রয়েছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল বলেন, রাতে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের ঘোলারচরে একটি নৌকা ডুবির খবর পাওয়ার পর পুলিশের একটি দলকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। পরে রাত ১টার দিকে ৬০ বছরের একজন বৃদ্ধা ও ১৩ বছরের এক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর সকাল সাড়ে ৮টায় আরও ১০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার মৃতদেহের মধ্যে ১০ জন শিশু, একজন পুরুষ ও একজন নারী রয়েছে।

টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল এসএম আরিফুল ইসলাম বলেন, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে গিয়ে রোহিঙ্গাদের নিয়ে একটি নৌকা ডুবির ঘটনায় এ পর্যন্ত শিশু, নারী ও পুরুষসহ ৮ জনকে বিজিবির টহল দল উদ্ধার করেছে। জীবিত উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা ২১জনের মতো নিখোঁজ রয়েছে বলে দাবী করছেন। ধারণা করা হচ্ছে, ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি লোক ওঠায় নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে।

উল্লেখ্য, গত ২৯ আগস্ট থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত নাফ নদী এবং সাগরে রোহিঙ্গাবাহী মোট ২৫টি নৌকাডুবির ঘটনায় ১৪২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়।

পাঠকের মতামত: